ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড - বন্দর উপজেলা) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। এ আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে মনোনয়নকে ঘিরে কোন্দল দেখা গেছে।
প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে দাবী জানিয়ে আসছেন বঞ্চিত মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক এমপি আবুল কালাম ও বিএনপি নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
অন্যদিকে বঞ্চিতদের কাছে টানতে নিয়মিত তাদের সাথে আলোচনা করে যাচ্ছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। নিয়মিত তাদের বাড়িতে যাচ্ছেন ও যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে এ আসন থেকে আসনটির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান অথবা অন্য কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিসদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ। নিয়মিত নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী জানিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবী জানান মঈনুদ্দিন আহমদ।
এছাড়াও মাঠে রয়েছেন এনসিপির প্রাথী আহমেদুর রহমান তনু ও ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাসুম বিল্লাহ। নিয়মিত নিজেদের প্রচার ক্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সাধারণ ভোটাররা জানান, এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর জয়লাভ করার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে বিএনপি থেকে যদি কোন হেভিওয়েট নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামে সেক্ষেত্রে ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে।
এদিকে বিএনপি নেতারা জানান, প্রাথমিক মনোনয়ন দল পুনর্বিবেচনা করতে পারে। সেকারণেই মাঠে রয়েছেন অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে প্রার্থী চূড়ান্ত হলে মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক, ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষেই সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও জন্য নেই।

