
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্বক্ষণিক আমাদের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বারগুলো প্রতিটি মন্দিরের কমিটির সদস্যদের কাছে দেওয়া থাকবে। তারা আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। আশা করি আমরা সকালের সহযোগিতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুন্দর পূজা উপহার দিতে পারব।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সদরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় একযোগে মোট ২২২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজার প্রাকপ্রস্তুতি দেখতে এসেছি নারায়ণগঞ্জের সকল মন্দিরের প্রস্তুতি ভালো রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ সবাই যেন পূজা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। সবার সহযোগিতা নিয়ে যেন ভালোভাবে উদযাপন শেষ হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মন্দির ও পূজা উদযাপন কমিটির কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, আমলাপাড়া মন্দির, নিতাইগঞ্জ মন্দির, দেওভোগ মন্দির, নন্দীপাড়া মন্দির ও ৫নং ঘাট বিসর্জন স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে পূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার, পিপিএম, তারেক আল মেহেদী, ইসরাত জাহান, পিপিএম, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাছির আহমদ ও টিআই (প্রশাসন) মোঃ আবদুল করিম শেখ'সহ জেলা পুজা উদযাপন কমিটির নেতা, বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত ও পুজারীরা উপস্থিত ছিলেন।