প্রতিমা
দিনক্ষন গোনা বলতে গেলো এক প্রকার শুরুই হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষ কখন পুরোহিত ভক্তিমনে চন্ডি থেকে পাঠ করবেন ‘যা দেবী সর্বেভূতেসু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমোঃ নমোঃ’। বছর ঘুরে আবারও দুর্গতিনাশিনী দশভূজা দেবী দুর্গা আসছেন আমাদের মাছে। শরৎ কালে হয় বলে শারদীয় পূজা বলা হয়। মা’র আগমনে আনন্দ তো আজ প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে। রোববার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবী আগমনের ঢামাঢোল। এবারে দেবী দুর্গা গজে (হাতি) মর্ত্যলোকে আসবেন এবং দোলায় (নৌকায়) চড়ে আবারো কৈলাশ পর্বতে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন।
দেবীর আগমনে এরই মধ্যে মন্দির ও ম-পে ম-পে চলছে জোর প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীরা এখন ব্যস্ত প্রতিমার গায়ে তুলির শেষ আঁচড় এঁকে দিতে। ব্যস্ত মায়ের ভক্তরাও। ঘরদোর পরিস্কার আর নতুন পোশাক কিনতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সবাই।
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কামারী পূজা, ৪ অক্টোবর মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্য েিদয় শেষ হবে বর্ণিল উৎসব।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পূজা ম-প ঘুরে দেখা গেছে, এখনও প্রতিমায় রঙ তুলির আঁচ শুরু হয়নি। তবে ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ। চলছে অস্থায়ী ও স্থায়ী মন্ডপ তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। রাস্তায় আলোকসজ্জার জন্য বাঁধা হচ্ছে বাঁশ।
ম-প সাজ্জসজ্জায় কারুশিল্পী টিংকু দে বলেন,‘নারায়ণগঞ্জে ৫টি ম-পের কাজ করছি। একই সঙ্গে চাঁদপুরেও কাজ করছি। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের পূজা ম-পের কাজ শেষ। পূজার কয়েকদিন আগে গিয়ে আমরা সেগুলো সাজিয়ে দিয়ে আসবো।’
তিনি বলেন,‘নারায়ণগঞ্জের পূজা মন্ডপের কাজগুলো খুব জঠিল। হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজ করতে রাত দিন কাজ করছি।’
দেওভোগ দুর্গাপূজা ম-পের সদস্য স্বপন দাস বলেন,‘রোববার মহালয়া উপলক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। ভোরে মা দুর্গার আগামী বার্তা চন্ডিপাঠ হবে। ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মায়ের আগামীবার্তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সাজ্জসজ্জার কাজ শেষ।
দেওভোগ লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার প্রতিমাকারীগর শিবু দাস বলেন,‘প্রতিমার দোঁয়াশ মাটির কাজ শেষ। মহালয়ার পর থেকেই রঙ তুলির কাজ শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘পূজার প্রতিমা তৈরিতে তেমন কোন ভীড় নেই। কারণ সব কিছুর দাম বেশি। সেজন্য প্রতিমার খরচও বেশি। এজন্য যারাও প্রতিমা বায়না দিয়েছেন তারাও কম খরচের মধ্যে প্রতিমা চাইছেন। তবে কয়েকটি প্রতিমার জন্য বিশেষ ভাবে করার অনুরোধ করেছেন।’
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন,‘