রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

দুই হাজার থেকে লাখ টাকার শাড়ি মিলছে জামদানি পল্লীতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ২৯ মার্চ ২০২৩

দুই হাজার থেকে লাখ টাকার শাড়ি মিলছে জামদানি পল্লীতে

জামদানি পল্লী

শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় দেশের একমাত্র জামদানি পল্লী। বংশ পরম্পরায় এই ঐতিহ্যববাহী পোশাক শিল্পের শিল্পী তৈরি হয়, পরিবারের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেই। ভিন্ন ধরণের শাড়ী তৈরিতে আংশিক বা পুরোপুরি যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হলেও জামদানি তৈরি হয় তাঁতে। ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লী এবার বেশ জমজমাট। বর্তমান বাজারে জামদানি শাড়ির চাহিদাও বেশি। তাই শেষ সময়ে রাত দিন কাজ করছে তারা। 

জামদানির জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামে। তবে, জামদানি পল্লী বিস্তৃত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের আরো অনেক জনপদে। জামদানি বলতেই শাড়ীর যে প্রচলিত ধারণা ছিল, এখন তার পাশাপাশি সালোয়ার কামিজ ও ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিও তৈরি করা হচ্ছে। যার চাহিদাও রয়েছে বাজারে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার পরছে এখানকার তাঁতীরা। দিনরাত শ্রম দিয়ে তৈরি করছে জামদানিসহ সালোয়ার কামিজ ও পাঞ্জাবি।

দেশ ও দেশের বাহির থেকে জামদানি কিনতে রূপগঞ্জ আসছে ক্রেতারা। বিভিন্ন দামের জামদানি কিনে খুশি তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছে, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। দুই হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা মুল্যের জামদারি শাড়ী তৈরী হয় এখানকার তাঁতগুলোতে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে সরাসরি তাঁত থেকে শাড়ি কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন তারা। 

রূপগঞ্জে বিসিক শিল্প নগরীর জামদানি শিল্পনগরী কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন জানান, একটি সময় জামদানি শুধু সমাজের এলিট শ্রেনী মানুষের পন্য ছিল, এখন জামদানি সবাই পড়ে। দিন দিন নারীদের কাছে জামদানি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু রূপগঞ্জে জামদানি শিল্প নগরীতে আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ কোটি টাকা বিক্রি হয় বলে জানান জামদানি শিল্পনগরী কর্মকর্তা।