
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মিন্টু নামে এক যুবদল কর্মীর বিরুদ্ধে কুকুর ধর্ষণের অভিযোগে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি একটি বেওয়ারিশ কুকুরকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মিন্টু তার ভাড়া বাসার ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি আড়াল থেকে দেখে ফেলেন শাহাদাৎ নামে আরেক বিএনপি কর্মী। এরপর এলাকাবাসীর কাছে দোষ স্বীকার করায় মিন্টুকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবত ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী শাহাদাৎ বলেন, মিন্টুর বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ শুনেছি সে কুকুরকে ধর্ষণ করে। সময়টা মনে নেই তবে ওইদিনও মিন্টু কুতুবপুরের মুসলিমপাড়া চায়না কামালের বাড়ির সামনে কুকুরকে নিয়ে সে খেলছিল। বিষয়টি দেখে আমার সন্ধেহ হলে আড়ালে গিয়ে দাড়াই। এরপর আড়াল থেকে দেখি মিন্টু কুকুরটিকে তার ভাড়া বাসার ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করছে। এসময় স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাকে আটক করি। তখন এলাকার অনেক লোক কাছ থেকে মিন্টুর দোষস্বীকারের ভিডিও ধারন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এমন একটি ঘটনা সহজেই ধামা চাপা পড়েনা। তাই এলাকাবাসীর মধ্যে এখনো সমালোচনার ঝড় বইছে।
মিন্টু বলেন, কুকুরটিকে কোলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। শাহাদাৎ এসে দেখে এলাকাবাসীকে নিয়ে জামেলা করেন। যুবদলে আমার কোন পদ নেই তবে আমি সাধারন কর্মী।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর তাই কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম।