
সুমি বেগম
শুনেছি আমাদের উন্নয়নের কারিগর, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আসছেন আমাদের এখানে। এ খবর শুনে কি আর ঘুম হয়। গত দুদিন ধরেই ঘুম আসেনা, জেগে থাকি। কাল রাতে এক মিনিটও ঘুম হয়নি, সকালে আলো দেখতেই পায়ে হেঁটে চলে এসেছি নেত্রীকে দেখতে, তার কথা শুনতে। তাকে দেখার ইচ্ছা পূরণ হলেই আমার শান্তি লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল মেট্রো রেলের ডিপো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলখ্যে আয়োজিত সমাবেশস্থলের মাঠ সকাল ৮ টার মধ্যেই নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ৯ টায় দেখা যায় মাঠের আশেপাশের সড়কগুলো দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এর মধ্যে একজন কর্মীকে দেখা যায় বসে থাকতে। সেই নারী কর্মীর নাম সুমি বেগম। কেন এত আগে আগে এখানে এসেছেন জানতে চাইতেই এভাবে উত্তর দিলেন তিনি।
সুমি বেগম রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কামসাইর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ভালোবাসি। শীতে শীতবস্ত্র, করোনায় খাদ্য সহায়তা, দুর্দিনে পাশে দাঁড়ানো, বিপদে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা, রমজানে খাদ্য সহায়তা, ঈদে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সবকিছু মিলিয়ে বসুন্ধরা আমাদের রূপগঞ্জে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। এই সহায়তার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধারদের জানাই অন্তর থেকে ভালোবাসা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে অন্ধকার থেকে আলোতে তুলেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের পর উন্নয়ন করে এখন দেশকে উন্নত দেশে পরিনত করেছেন তিনি। তার কারণে আজ আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। আমরা পদ্মা সেতু করেছি, মেট্রোরেল করেছি আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। আজ এখানে মেট্রো রেলের ডিপো উদ্বোধন করবেন নেত্রী। সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন উন্নত দেশগুলো আমাদের উন্নয়ন দেখতে এখানে আসবেন কারণ আমাদের এখন শেখ হাসিনা আছে যার হাত ধরে উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় আমরা শিখেছি।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে রঙ বেরঙয়ের টিশার্ট, ক্যাপ, ব্যানার ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলে দলে আসছেন নেত্রীকে দেখতে ও তার কথা শুনতে। জেলা আওয়ামীলীগ, মহানগর আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা ও মহানগর শাখা, উপজেলা শাখা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে আলাদা আলাদা ব্যানারে আসছেন নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সমর্থকরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ডে ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মোড়ে মোড়ে নির্মান করা হয়েছে তোরণ।