ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির প্রথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এদিকে আসনটিতে আজাদের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবী নিয়ে মাঠে আছেন বিএনপির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও আসনটির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতদের যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নামলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে।
এ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। আঙ্গুর এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তবে বিএনপির অনুসারীরা বলছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেই বিরোধ মিটে যাবে। দলের সিদ্ধান্ত ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউই যাবেন না।
নির্বাচনের বিষয়ে আজাদ বিভিন্ন বক্তব্য দিতে গিয়ে জানান, আড়াইহাজারের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আমরা এ আসনে বিপুল ভোটে ধানের শীষকে বিজয়ী করে আসনটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উপহার দেবো।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা। তিনি দুপ্তারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আড়াইহাজারে নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।
সাবেক জনপ্রতিনিধি হওয়ায় উপজেলায় ইলিয়াস মোল্লার অনুসারী ও শুভাকাঙ্খী রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে দেখা যাবে ইলিয়াস মোল্লাকে।
এছাড়াও আসনটিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন মুফতি হাবিবউল্লাহ হাবিব। আড়াইহাজারে নিয়মিত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে সাধারণ ভেটারদের মাঝে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে শংকা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জামায়াত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দলীয় মনোনয়নকে ঘিরে বঞ্চিতরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামায় যেকোন সময় বিএনপির অভ্যন্তরীন বিরোধও সংঘাতে গড়াতে পারে।

