
কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবি
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ৩৫ মরাদেহ উদ্ধার নাড়া দিয়েছিল পুরো দেশবাসীকে। পুরো দেশেই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল এ ঘটনায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বাংলানিউজকে জানান, এক এক করে আমরা ৩০ জনের লাশ বের করি লঞ্চ থেকে। পরে আরো ৫ লাশ উদ্ধার করি। কি সেই করুণ দৃশ্য বলে বুঝানো যাবেনা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। এরকম করুণ চিত্র আগে দেখিনি। একসাথে এক মানুষের মৃত্যু। যখন লঞ্চটি তোলা হচ্ছিল তখন ভেতরে শুধুই মরাদেহ ছিল।
৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকার ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পরে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। ৫ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার করা হয়। পরে লঞ্চ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ মরাদেহ। পরদিন ৬ এপ্রিল সকালে শিশুসহ আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন কোনভাবেই না হয় এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।