মানববন্ধন
জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পরেও মন্ত্রণালয় থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের পাশে ডাক্তার না লেখার নোটিশের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার আশরাফুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুল্যাহ বেগ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আহাম্মদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইদ হাসান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ডাক্তার পারভীন আক্তার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালে অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে প্রথম এবং ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের পাশে ডাক্তার লেখার অনুমতি মেলে। অথচ সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। গত ১০ই আগস্ট স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুরূপ চিঠি এসেছে। যা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাসকৃত আইন ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩’ অনুসরণ করেন। যার তদারকি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল করে থাকে। অপরদিকে, ইগউঈ আইন-২০১০ অনুসরণ করেন এলোপ্যাথিক (গইইঝ এবং ইউঝ) চিকিৎসকগণ। তারা বলেন, ২০২৩ এর ২(১৩) উপ-ধারা মতে, ‘হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (ঐড়সবড়ঢ়ধঃযরপ উড়পঃড়ৎ)’ অর্থাৎ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা. (ডাক্তার)। এ ছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ১২ ধারামতেও ‘চিকিৎসক অর্থ-গইইঝ, ইউঝ, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকগণ।
