বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

|

আশ্বিন ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ভূয়া সমন্বয়ক সাজিয়ে ফুল নিলেন মাকসুদ চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৫২, ১৯ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ২১:৫২, ১৯ আগস্ট ২০২৪

ভূয়া সমন্বয়ক সাজিয়ে ফুল নিলেন মাকসুদ চেয়ারম্যান

ফাইল ছবি

বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বাবার মতই একজন চতুর প্রকৃতির লোক। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে মুছাপুর ইউনিয়নে নিজের ও পরিবারের আধিপত্য বিস্তার করেছে। একজন কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়েও নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অংশীদার প্রমানে কোন প্রকার কসুর রাখেনি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে মুছাপুর এলাকায় দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানিয়েছেন মাকসুদ ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মাথায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে থাকা মাকসুদ হোসেন মুছাপুরে ফিরে এসে শেখ হাসিনার পতনে আনন্দ মিছিল করে। মিষ্টি বিতরন করেন। 

আর রাতে তার নির্দেশে তার সন্ত্রাসী ছেলে দলবল নিয়ে মুছাপুর ধামগড় সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০টি অধিক বাড়িতে হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। রাতারাতি ভোল পাল্টানো মাসকুদ হোসেন এরপর কাছে টানতে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের। যে কিনা শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ছাত্রের বাড়িতেও হামলা লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে মাকসুদ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী পুত্রের এমন কুকর্মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নতুন নাটক মঞ্চস্থ করতে শুরু করে চতুর এই বাপ-ছেলে। বাবা বন্দর উপজেলার মাকসুদ হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের দেয়ালে গ্রাফিটির সামনে দাড়িতে ফটোসেশন করে তাদেরকে ডেকে অর্থ সহযোগীতা দেন। ছেলে গিয়ে ছাত্রদের সাথে গ্রাফিটি আকঁতে রং তুলি ধরে করেন ফটোসেশন। সেই সকল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মাঝে জনপ্রিয়তা প্রচারে উঠে পড়ে লাগেন।

সব শেষ ১৯ আগস্ট সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক- সহ সম্বনয়করা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালানো হয়। 

প্রকাশিত ওই সকল ছবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনা পাল্টা প্রশ্ন করেন এরা কারা? বন্দরে আলাদা করে কোন কমিটি করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জে একটাই সমন্বয়ক কমিটি।