শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় তরুনীর জেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২৩ জুন ২০২২

আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় তরুনীর জেল

প্রতীকী ছবি

ফতুল্লার একটি আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলায় নাহিদা নামের এক তরুনীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও একই মামলায় ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।

২২ জুন বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌসের আদালত আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত নাহিদা (১৯) ফতুল্লা থানার কোতালেরবাগ এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজজামান। তিনি বলেন, ‘পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে নাহিদাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটিতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আসামীকে দোষী সাবস্ত্য করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। আসামী নাহিদা পলাতক রয়েছেন।’

আদালত সূত্র জানায়, মামলার বাদীর ভাই উজ্জলের সাথে দন্ডপ্রাপÍ আসামী নাহিদা বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বিবাহ করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে নাহিদা সহ তার পরিবারের লাকি, নজরূল, রফিক, রনি ও মকবুলসহ আরও ২-৩জন বাদীর ভাই উজ্জ্বলকে প্রায়ই বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো এবং শারীরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। ইহাতে অতিষ্ঠ হয়ে বাদীর ভাই বাসায় এসে কান্নাকাটি করতো। এর কিছুদিন পর বাদীর ভাইয়ের সাথে আসামী নাহিদার ঝগড়া হলে লাকি, নজরূল, রফিক, রনি ও মকবুল নাহিদাকে বাসায় নিয়ে আসে। পরে বাদীর ভাই হতাশায় ভুগতে থাকে।

২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ৭টায় নাহিদা বাসায় এসে বাদীর ভাই উজ্জ্বলকে বাসায় নিয়ে যায়। এর এক ঘন্টা পর নাহিদা কল করে বলে উজ্জ্বল ফাঁসি দিয়ে আতœহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ও বোন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি আতœহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন।