শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

|

অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

অভ্যুত্থানের পরেও আমরা কথা বলা থামাইনি: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:০২, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

অভ্যুত্থানের পরেও আমরা কথা বলা থামাইনি: সাকি

’মাথাল’ নিয়ে মিছিল

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অভ্যুত্থানের পরেও আমরা কথা বলা থামাইনি। জুলাই সনদ তৈরিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছি। যাতে পরবর্তীতে আর কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। অনেক বলার পর আজকে বাংলাদেশ সে পথে হাটছে। এখন দায়িত্ব জনগণের। চোর-লুটেরাদের ভোট দিলে তারা আবার ফাঁকফোঁকর খুঁজবে। সুতরাং যারা এতোদিন আপনাদের পক্ষে ছিল তাদের চিহ্নিত করুন। আর সেই চিহ্নিত করতে গেলে আমরা যাদেরকে মনোনীত করেছি, তাদের নামই শুরুতে আসবে। 

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নগরের খানপুর মেট্রো হলের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রতীক 'মাথাল' নিয়ে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই তরিকুল সুজন, অঞ্জন দাস কিংবা বিপ্লব, পপি, মুনাসহ আমাদের নেতারা সেই রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে বিগত ১৬ বছর লড়াই করেছে। অভ্যুথানের নেতৃত্ব দিয়েছে। আপনারা তাদের উপর ভরসা রাখবেন। 

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ। সুতরাং নির্বাচন বানচাল করার কোন সুযোগ নেই। জনগণের স্বার্থ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের আলাদা কোন স্বার্থ নাই। তাই আপনারা গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে থাকবেন৷ তাদের সহযোগিতা করবেন এবং মাথাল মার্কাকে জয়যুক্ত করবেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পেরেছিল সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার কারণে। সংবিধানে অনেক অধিকারের কথা বলা থাকলেও এক ব্যাক্তির হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল৷ যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, ক্ষমতা এতোদিন প্রতিষ্ঠা হয়নি। বর্তমানের বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। আমরা একথা আমাদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বলে এসেছি। কিন্তু সেসময় সবাই তা শোনেনি। আর এই সুযোগেই হাসিনা যা ইচ্ছা তাই করতে পেরেছে। তিনটি নির্বাচন শেখ হাসিনা করেছে গায়ের জোরে। আর এর মাধ্যমেই তারা সারাদেশময় সহিংসতা শুরু করার ম্যান্ডেড পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যাকে লাশের নদীতে পরিণত করেছে। এই শামীম ওসমান গং ত্বকীকে হত্যা করেছে। সাত খুন করেছে। আমরা বলেছি শেখ হাসিনার পতন আমরা চাই, সাথে সাথে এই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর পতনও করতে হবে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, মহানগর কমিটির অন্যতম সদস্য ফারহানা মানিক মুনা।