বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

|

আষাঢ় ২৪ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

‘অন্তর্বর্তী সরকার বিচারপ্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:২০, ৯ জুলাই ২০২৫

‘অন্তর্বর্তী সরকার বিচারপ্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই’

ফাইল ছবি

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে ত্বকী হত্যা মামলার বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারপ্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তন প্রাঙ্গণে ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৮ মাস উপলক্ষে আয়োজিত মোমশিখা প্রজ্বালন কর্মসূচিতে ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট প্রতি মাসের ৮ তারিখে এই মোমশিখা প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলামের (কাজল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহার (জুয়েল) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সিপিবির শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী, বাসদের জেলা সদস্য প্রদীপ সরকার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি মাহমুদ হোসেন ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।

রফিউর রাব্বি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ত্বকীসহ বহু হত্যায় অভিযুক্ত শামীম ওসমান পরিবারসহ পালিয়ে গেলেও তাঁদের দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসী চক্র আজকে বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়েছে। নতুন করে দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, গডফাদার তৈরি হচ্ছে। হাটবাজার, ঘাট, পরিবহন, প্রতিটি ক্ষেত্র নতুন করে দখলে গিয়েছে। অভ্যুত্থান–উত্তর বাংলাদেশে জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী এখনো বদল ঘটেনি। সরকার মব সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে।

রফিউর রাব্বি বলেন, যাঁরা ত্বকীকে হত্যা করেছেন, সেই শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সন্ত্রাসী শাহ নিজাম—তাঁরাই জুলাইয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমানসহ ঘাতকদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত অভিযোপত্র দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।