আলোচনা সভা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, আওয়ামীলীগ অনেক বড় দল। এখানে ত্যাগী নেতাদের অভিমান থাকতে পারে, সেগুলো আমরা তাদের অভিমান ভাঙ্গাতে হবে। আমরা আপনাদের কর্মীদের ভালোবাসায় নেতা হয়েছি। এই যে প্রফেসর ডা. সোহেল অত্যন্ত ভদ্র ছেলে। সে অনেকটা আমার মতো, ব্যক্তিগত অর্থায়নে দলের জন্য কাজ করে। স্বামী-স্ত্রী দুজন ডাক্তার, দুজনেই প্র্যাকটিস করে যে অর্থ উপার্জন করে, তার একটি অংশ দলের জন্য ব্যয় করে। নিজের উদ্যোগে আমাদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের জন্য ছোট পরিসরে হলেও অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এদের মত নেতা আমাদের আওয়ামীলীগের প্রয়োজন রয়েছে। ছোট ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দল আরো গতিশীল হয়।
আরো বলেন, ২০০১ সাল ১৬ জুন আমাদের উপর বোমা হামলা করা হয়েছিলো। সে টা কে আমি গণহত্যা বলি, ওখানে আমি এখানে অনেকে ছিলো। আমি যখন ২০০২ সালে ঢাকায় নেত্রী কাছে যায়, তখন আমাকে দেখে তিনি বলেন খোকন তুমি এখানে? আমি বললাম, মা কাছে ছেলে আসছে মৃত্যুর ভয়ের কিসের? নেত্রী রাগের সুরে আমাকে বললেন, বোমা হামলার বাদী তুমি, খোকন তোমাকে ওরা মেরে ফেলবে। আমাকে তিনি তার বিরোধী নেত্রী গাড়ীতে উঠালেন, শত শত গাড়ী বহরে আমাকে তিনি নিরাপদে স্থানে পৌছিয়ে দেন। যেদিন নেত্রী আমাকে না বাচঁলে আজ আমি এখানে থাকতাম না। এই হলো কর্মী বান্ধব নেত্রী, আমি আপনাদের জন্য তেমন কিছু করতে পারি নাই। পরে জানতে পারি, আমাকে গ্রেপ্তার করার জন্য নেত্রীর চারিদিক ডিবি পুলিশের বিশেষ টিমের ৩০টি গাড়ী ছিলো।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টায় বাবুরাইল আশ্রাফজ্জামান তোতা মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেলের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খোকন সাহা আরো বলেন, এক সময় অন্য দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। আর এখন তো নিজ দলের লোকদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছি। তারপরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এই দলটা করি শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসনার জন্য। কেননা আমি দেখেছি তিনি নেতাকর্মীদের কতটা ভালোবাসেন, দেশের জনগনের জন্য কত পরিশ্রম করেন। আমি ঐদিনই নিজেকে স্বার্থক মনে করবো যেদিন বঙ্গবন্ধু কণ্যার জন্মদিন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে উদযাপন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ সাহা, শিখন সরকার শিপন, যুবলীগ নেতা সাহেদ, আলতাফ, রিপন, নুরুজ্জামান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাহফেরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।