রোববার, ০৫ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ২১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে যে জাহাজে চড়ে রাণীর অগমন ও উপহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে যে জাহাজে চড়ে রাণীর অগমন ও উপহার

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে পাগলা মেরী এন্ডারসন মূলত একটি জাহাজ। এ জাহাজটি ঐতিহাসিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ ১৯১৮ সালে রাণী এলিজাবেথ এই জাহাজে করে বাংলাদেশে আসেন। এসময় তার মা রাণী কুইন মেরীর নামে জাহাজটি তৎকালীন সরকারকে উপহার দেন তিনি।

১৯৭১ সালের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হলেও ১৯৭৮ সালে এটি পর্যটন করপোরেশনের আওতায় আসে। তারপর থেকে এটি ভাসমান রেস্তোরা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

পুরানো ব্রিটিশ প্রমোদ তরীতে বর্তমানে মাত্র ৩০০০ টাকায় রাত্রিযাপনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ পাওয়া যায়। আর ঘন্টা প্রতি কক্ষ নিতে চাইলে ভাড়া লাগবে ৮০০ টাকা। মাঝ নদীতে বসে মেরি আন্ডারসন রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়া দর্শনার্থীদের কাছে এ এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় ঘটায়। ঢাকা হতে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্টুরেন্টটি ইতিমধ্যে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রোডে অবস্থিত পাগলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, রিক্সা বা অটোরিক্সা নিয়ে সদর উপজেলা থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ফতুল্লার পাগলায় বুড়িগঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্টুরেন্ট যেতে পারবেন।

পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, ১৯১৮ সালে এ জাহাজটি তৈরি করা হয়। ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার উপহার ছিল এ জাহাজ। জাহাজটিতে ভ্রমণ করেছেন রানি ভিক্টোরিয়ার মেয়ে মেরি। তার নাম অনুসারেই এর নামকরণ করা হয়েছে মেরি অ্যান্ডারসন(Mary Anderson)। ১৯৭৮ সালে এটি পর্যটন করপোরেশেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় থেকেই এটি পাগলা জেটিতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০০৪ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থার কাছে চুক্তিতে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৮ সালে ১৫ বছরের জন্য হক ট্রেডার্সের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।