ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ বাড়ায় বাজারগুলোতে শাক ও সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। তবে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে সব ধরনের সবজির দাম আরও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ কলি ও নতুন আলু বাজারে আসায় পুরান আলু ও পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে বাজারের তরকারি বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। একইসঙ্গে পেঁয়াজ কলি বাজারে আসায় পুরান পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি শিম কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো কেজিতে ৪০ টাকা কমে ১০০ টাকা, দেশি গাজর ৬০ টাকা ও ইন্ডিয়ান ১২০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস ও লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা ও ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে করলা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে লেবুর হালি ১০ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ও চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লাল শাক আঁটিতে ৫ টাকা কমে ১০ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা, ডাটা শাক ২ আঁটি ৪০ টাকা, পালং শাক ২ আঁটি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে নতুন আলু কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা, পুরান আলু কেজিতে ১০ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ১১০ টাকা ও পেঁয়াজ কলি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মাছ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ৩০০ গ্রাম ওজনের ১ কেজি মাছ ১০০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ১৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের ২৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা ও ইন্ডিয়ান ১৭০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা ও সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা ও ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।

